যাকাত

0
569
যাকাত সম্পর্কে
১৮২. রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন- নিশ্চয় মহান ও পরাক্রান্ত আল্লাহ বলেছেন, “নিশ্চয় আমি সুষ্ঠুভাবে নামায কায়েম করা ও যাকাত দান করার উদ্দেশ্যে ধন-দৌলত অবর্তীন করেছি। কোন আদম সন্তানের যদি এক উপত্যকা সমান সম্পদ থাকে, তখন সে নিশ্চয় কামনা করে, তার জন্য যেন দ্বিতীয় উপত্যকা সমান সম্পদ আসে। আর তার যদি দু’উপত্যকা সমান সম্পদ থাকে, তবে সে নিশ্চয় বাসনা করে, তার জন্য তৃতীয় উপত্যকা পরিমাণ সম্পদ আসুক। আর আদম সন্তানের পেট মাটি ছাড় অন্য কোন বস্তু পূর্ণ করতে পারবে না।”

আহমদ এ হাদীসটি হযরত আবূ ওয়াকিদ লায়সী থেকে সংগ্রহ করেছেন।

১৮৩. রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন- নিশ্চয়ই সুমহান আল্লাহ বলেছেন, “হে আদম! তোমার ধন ভান্ডার আমার কাছে গচ্ছিত রাখ, তোমার সম্পদে না আগুন লাগবে, না তা পানিতে ডুববে, না তা চুরি হবে। তুমি যখন ওটার সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন বোধ করবে, আমি তখন তোমাকে তা পুরো মাত্রায় দেব।”

বায়হাকী এ হাদীসটি হযরত হাসান বসরী (রঃ) থেকে সংগ্রহ করিয়াছেন।

১৮৪. রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন- আল্লাহ বলেছেন, “হে আদম সন্তান! তোমার কাছে এ পরিমাণ সম্পদ থাকতে পারে, যা তোমার প্রয়োজন মেটানোর জন্য যথেষ্ট, অথচ তুমি এ পরিমাণ চাও যা তোমাকে বিভ্রান্ত ও বিদ্রোহী করে তুলবে। হে আদম সন্তান! তুমি যদি সুস্থ দেহে রাত ভোর কর, তোমার পরিবার ও পশুপালের ভেতর তুমি নিরাপদে থাক এবং তোমার কাছে এক দিনের খাদ্য মওজুদ থাকে, তবে অবশিষ্টটা সমস্ত পৃথিবীর জন্য হোক।”

ইবনু আ’দী এ হাদীসটি হযরত উমর (রা) থেকে সংগ্রহ করেছেন।